এবারে সন্তোষপুর লেক পল্লির ৫৭ তম বর্ষ। সকালে এলাকার বাসিন্দাদের ঘুম ভাঙল ঢাকের বাদ্যি শুনে। ঢাকের আওয়াজ অবশেষে ভোটের আবহ কেটে শহরে পুজোর আবেশ এসে পড়ল। সেই আবেশে গা ভাসিয়ে এখন মায়ের প্রতিক্ষায় সন্তোষপুর লেক পল্লির সঙ্গে দিন গুনতে শুরু করে দিল সমগ্র শহরবাসীও।দিন গুনতে শুরু করে দিল আম বাঙালি। জাঁকজমকের মাধ্যমে এবছরের পুজোর আনুষ্ঠানিক উদবোধন করে ফেলল সন্তোষপুর লেক পল্লি। ভোট যুদ্ধ শেষ হতেই শুরু হয়ে গেল পুজো উৎসব। এতদিন ভোট প্রচারের একঘেয়ে মাইকের আওয়াজ শুনতে শুনতে কান ঝালাপালা হয়ে উঠেছিল শহরবাসীর।
তাই পুজোর আবেশ মেখে এক নতুন উদ্যমে দেওয়া হয়েছিল ক্লাবের পক্ষ থেকে। ক্লাবের জয়েন্ট সেক্রেটারি সোমনাথ দাস জানালেন, এবারের পুজোর পরিকল্পনায় রয়েছেন সঞ্জীব সাহা ও প্রতিমা শিল্পী পরিমল পাল। সকাল সকাল পাড়ার পুরোহিত এসে যজ্ঞ করে খুঁটি পুজো করেন। শুধু পাড়ার বাসিন্দারাই নয়, জাকজমকপূর্ণ এই খুঁটি পুজোয় উপস্থিত ছিলেন রূপোলি জগতের বেশ কয়েকজন ব্যক্তিত্ব।
এসেছিলেন টলিউড ও বলিউড অভিনেতা রাজেশ শর্মা, আঁচল ধারাবাহিক খ্যাত শ্রীপর্ণা রায় ওরফে ‘টুসু’, বাইশে শ্রাবণ খ্যাত অনিন্দ্য বন্দ্যোপাধ্যায়, বিশিষ্ট সাংবাদিক দেবদূত ঘোষ ঠাকুর। এছাড়াও ১০৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলার সঞ্জয় দাস-ও এদিন খুঁটি পুজোয় উপস্থিত ছিলেন।
এতো গেল খুঁটি পুজোর আয়োজন, এরপর দুপুরে পাড়ায় একসঙ্গে খাওয়া দাওয়ার জোরদার বন্দোবস্তও করা হয়েছিল।
খাওয়া দাওয়ার কথা বলতে গিয়ে জয়েন্ট সেক্রেটারি সোমনাথ দাস জানান, খুঁটি পুজোর পরে পাড়ায় পাতপেড়ে খিচুড়ি, বেগুন ভাজা, আলুর দম, চাটনি খাওয়ার আয়োজন করা হয়েছিল।
আর দুপুরের এই আয়োজনে হাতে হাত মিলিয়ে সঙ্গত করেছিলেন পাড়ার মহিলারাও।
বিকেলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করেছিলেন উদ্যোক্তারা।
ছোটদের শ্রুতি নাটক, গান, কবিতা সহ নাচে-গানেপুজোর প্রস্তুতির চমক দেখতে পাওয়া গেল এদিন।
এর পাশাপাশি প্রতিবারের মতো এবারেও সোনারপুরের একটি অনাথ আশ্রমকে এদিন কিছু আর্থিক সাহায্যও করা হয়।